বদরুল ইসলাম বাদল

চলমান ইউপি নির্বাচনে পেকুয়া সদরের নৌকার মাঝি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম । 28 নভেম্বর নির্বাচনে তৃণমুল থেকে উঠে আসা আদর্শিক ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করতে গিয়ে সাংবাদিক জহিরুল ইসলামের প্রতি আস্থা রাখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের সাথে থাকা উচিত পেকুয়াবাসীর।
সাংবাদিক জহির একজন ভদ্র, নম্র,সজ্জন সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে সম্পর্কিত নির্ভর যোগ্য অভিজ্ঞ নেতা। সুদীর্ঘ নব্বই দশক থেকে জহিরুল ইসলাম রাজনীতি নিয়ে মাঠে আছেন ।ছাত্র রাজনীতির সম্মুখসারীর নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক দুর্ভোগের সম্মুখীন হন।কক্সবাজার জেলার স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের চকরিয়ার শহীদ দৌলত খানের সহযোদ্ধা ছিলেন। গনতন্ত্র, সংবিধান এবং মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে রাজপথে ছিলেন। শ্লোগানের সাথে ছিল,” অত্যাচারীর কালো হাত জ্বালিয়ে দাও,পুড়িয়ে দাও।কৃষক শ্রমিক জনতা, গড়ে তোল একতা।”সেই থেকে আজ অবধি মানুষের পাশে আছেন।কৃষক, শ্রমিক অবহেলিত মানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। জহিরুল ইসলাম একজন লড়াকু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।অভিজ্ঞ কলম সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া একজন সাচ্চা সমাজ সেবক।কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী দক্ষ প্রতিভাবান নেতা। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, জলাবদ্ধতা সাইক্লোন, যেখানে মানুষের দুর্যোগ সেখানে হাজির সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম। জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশনে কৃষকের সাথে কোদাল হাতে সাংবাদিক জহির, জলোচ্ছ্বাস কিংবা সাইক্লোনে হতদরিদ্র পরিবারের পাশে জহির,রাস্তা ঘাট মেরামতে মাটি মাথায় সাধারণ মানুষের সাথে তিনি। সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে দাবি আদায়ে সকাল বিকাল রাত নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম।যাহা ইতিপূর্বে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই কৃষক শ্রমিক জনতার পরম বিশ্বস্ত তিনি। তাদের আশা ভরসার মানুষ। তাই মুজিব কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে অধিকতর সুযোগ নিয়ে পাশে দাড়াতে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকায় মনোনয়ন দিয়েছেন তাঁকে। দলের নেতা কর্মীদের নৌকার বিজয়ে সাথে থাকার নির্দেশনা জারি করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চলমান উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নৌকার বিজয়েই তিনি প্রধানমন্ত্রী, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিধবা ভাতা,বয়স্ক ভাতা ,বছরের প্রথম দিনে নতুন বই।দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ সহ আরো অনেক।তাই তিনি মজলুম জননেতা সাংবাদিক জহিরুল ইসলামকে ভোট দিয়ে জয় করার আহ্বান জানান।

পেকুয়া উপজেলা বৃহত্তর চকরিয়ার আওতাভুক্ত ছিল। উপকুলীয় জনপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অনেক খারাপ, গাড়ি চলাচলের ছিল অযোগ্য। সেই সময়েই পায়ে হেটে খেয়ে না-খেয়ে চকরিয়া পেকুয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত সকল ইউনিয়নে এবং স্কুলে ছাত্রদের রাজনৈতিক পাঠ দিয়ে ছাত্রদের রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ ও সংগঠিত করতে নিরলস পরিশ্রম করতেন আজকের সাংবাদিক নেতা এবং সুবিধা বঞ্চিত মানুষের বন্ধু সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম ।তখন রাজনীতি এমন সহজ ছিল না। অভিভাবকদের চোখ এড়িয়ে রাজনীতি নিয়ে কাজ করতে হতো। স্কুলে রাজনীতির অনুমতি ছিল না। সামরিক সরকারের অত্যাচার নিপীড়নে ছাত্র জনতা রাজনীতিতে আসতে ভয় করত।হাতে গুনা কিছু সচেতন মানুষ এবং পড়ুয়া সকল ভয় ভীতি উপেক্ষা করে রাজনীতিতে আসতেন।নিজের পকেটের টাকা খরচ করে রাজনীতি করতে হতো। নব্বই দশকের উত্তাল রাজনৈতিক পরিবেশে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম এবং প্রত্যেক কর্মসূচিতে জহির ভাইয়ের সরব ভূমিকা রাজনীতির জন্য অনন্য উজ্জ্বল স্বাক্ষর। তিনি আজকের পেকুয়া সদরের নৌকার মাঝি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্নেহ ধন্য সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম। রাজনীতির কঠিন সময়ের যোদ্ধা, অপরিসীম পরিশ্রমী সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু আদর্শের সোনার বাংলা বিনির্মানের সৃষ্টিশীল সাহসী নেতা।স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের কক্সবাজারের একমাত্র শহীদ চকরিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ দৌলত খানের সহযোদ্ধা। সেই দিনের মিশিলের সারথি । রাজনীতির বীর পুরুষ সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম।

কক্সবাজারের পেকুয়া একটি উপকূলীয় জনপদ। উন্নয়নের সাথে সুরক্ষার বিষয় টি না থাকলে বেড়িবাঁধ ছিড়ে সব উন্নয়ন পানিতে ডুবে যাবে। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকলে এলাকা বাসীর অপূরনীয় ক্ষতি হবে। সাংবাদিক জহিরুল এসব নিয়ে অনেক দিন থেকে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি অভিজ্ঞ কর্মবীর। সব সময় জনগণের পাশে থাকবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

নৌকা উন্নয়ন, সমৃদ্ধি শান্তি স্বাধীনতার প্রতীক। বাংলাদেশের প্রত্যেক উন্নয়নে নৌকার অবদান রয়েছে। যে কথা অনস্বীকার্য যে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এখনো অবহেলিত।পর্যাপ্ত ফান্ড এবং জনবলের অভাব।তাই স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হয়।সেজন্য অভিজ্ঞ, দক্ষ, কৌশলী প্রতিনিধি নির্বাচিত না হলে অনেক সময় উন্নয়নের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।সেই নিরিখে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম একজন পারদর্শী জনবান্ধন নেতা।অসহায় মানুষের নিত্য সহচর। জহির ভাইকে নৌকায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা দরকার বলে মনে করে সচেতন সমাজ। স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে হলে নৌকাকে বিজয় করা জরুরি। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার হল গনতান্ত্রিক সরকারের প্রাথমিক স্থর বা মৌলিক ভিত্তি। গনতান্ত্রিক সরকারকে শক্তিশালী করতে হলে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ভিত্তি দিতে হবে। তাই নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক জহিরুল ইসলামকে জয়ী করা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক: সাবেক ছাত্র নেতা।